সরিষাবাড়ীতে গরু চুরির প্রতিবাদ করায় মারপিট, আহত ২
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চুরি হওয়া ২টি গরু উদ্ধারে সহায়তা ও চোরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় প্রতিবেশী আবদুর রহমান (৫০) ও সোহাগ মিয়া (৩৫) আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মহাদান বিলবালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চুরি হওয়া ২টি গরু উদ্ধারে সহায়তা ও চোরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আবদুর রহমান (৫০) নামে এক প্রতিবেশীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত **শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায়** উপজেলার মহাদান বিলবালিয়া গ্রামে আমজাদ হোসেনের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মহাদানের বনগ্রাম এলাকার খামারি মোঃ বাদল খায়ের খামার থেকে গত **২৫ জুন (বুধবার) রাতে** ২টি গরু চুরি হয়। সেই চুরি হওয়া গরুর সন্ধান মেলে একই ইউনিয়নের বিলবালিয়া গ্রামের মৃত লোকমান শেখের পুত্র **জালাল মিয়া (৪২)** নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর গোয়াল ঘরে। তার দুইদিন পরে **২৭ জুন (শুক্রবার) সকালে** স্থানীয়দের মাধ্যমে গরু দুটি উদ্ধার করেন গরুর মালিক বাদল খা। পরে সংবাদ পেয়ে গরু দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আবদুর রহমান ও সোহাগ মিয়া চুরি হওয়া গরু উদ্ধারে সহায়তা করছেন এমন অভিযোগে জালাল মিয়া ও তার ছেলে **রাকিব (২০)**, **শাকিল (১৮)** এবং হেলাল উদ্দিনের ছেলে **জাকারিয়া (২২)** তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে আবদুর রহমান (৫০) সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং সোহাগ মিয়া (৩৫) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত আবদুর রহমান বলেন, “চুরি হওয়া গরু জালালের গোয়াল ঘর থেকে পাওয়া গেছে এটা এলাকার সবাই দেখেছে। যার গরু হারিয়েছে সে আমাকে রাস্তায় দেখে জানতে চায় জালাল এর বাড়ি কোনটা। আমি দেখিয়ে দিয়েছি। এটাই আমার অপরাধ। জালাল তার ছেলেদের ঢাকা থেকে বাড়িতে এনে আমার উপর হামলা করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
আহত সোহাগ মিয়া বলেন, “কথায় বলে চোরের মায়ের বড় গলা। তার গোয়াল ঘর থেকে গরু পাইছে সবাই দেখছে। আর আমরা সেটা বলছি তাতেই তারা ক্ষেপে গেছে। জালালসহ তার ছেলেরা আমাদের উপর হামলা করছে। আমরা এর বিচার চাই।”
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল মিয়ার পক্ষের লোকজন বলেন, “জালালকে ফাঁসানো হয়েছে। তার গোয়াল ঘরে অন্য কেউ গরু রাখছে। জালাল শুধু রাখতে দিয়েছিল। তবে জালালসহ তার ছেলেরা যে মারামারি করছেন এটা ঠিক হয়নি।”
গরুর মালিক **বাদল খা** বলেন, “ঘরের দরজায় একটা চিঠি পড়ে ছিলো। সেখানে লেখা ছিলো জালাল নামে একজনের গোয়াল ঘরে গরু আছে। সেই সূত্রে লোক দিয়ে শনাক্ত করি গরু আছে। পরে সকালে গরু উদ্ধার করা হয়। মানুষের সমাগম দেখতে পেয়েই জালাল মিয়া গা ঢাকা দেয়।”
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) **মো. রাশেদুল হাসান রাশেদ** বলেন, “এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ওই গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে।”