জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শাহ আলম নামে এক সেনাবাহিনীর সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রতারণার অভিযোগে খলিলুর রহমান বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের করবাড়ী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে সেনা সদস্য শাহ আলম। তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। সাইদুর রহমানের ছেলে সেনাবাহিনীর একজন সদস্য থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলার গঙ্গাবর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে সাজ্জাত হোসেন ও জামালপুর সদর উপজেলার পাকুল্ল্যা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে কবির হোসেনকে সেনাবাহিনীতে চাকরি নিয়ে দিবে বলে জানায়। এ চাকরি দেয়ার নামে প্রতি জনের কাছে থেকে ৯ লাখ টাকা করে দাবি করেন সাইদুর রহমান। সেনাবাহিনীতে চাকুরী পাওয়ার আশায় সাজ্জাত হোসেন ও কবির হোসেন তাদের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে। তার কয়েক দিন পর সাজ্জাত হোসেন ও কবির হোসেন তাদের অভিভাবকদের নিয়ে করবাড়ী গ্রামে সেনা সদস্য শাহ আলমের বাবা সাইদুর রহমান এবং চাচা মজনু মিয়ার নিকট দুই জনে ৯লাখ টাকা করে নগদ ১৮ লাখ টাকা দেন। এই টাকা গ্রহণের সময় ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি একটি ষ্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গিকারনামাও দেন শাহ আলমের বাবা সাইদুর রহমান। পরে ২০২১ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর সাজ্জাত হোসেনকে কম্পিউটার অপারেটর কোর/রেজিমেন্টের ট্রেড-১/ট্রেড-২ এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভর্তির নিয়োগপত্র দেন। এ নিয়োগপত্র নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ খুলনা এএসসি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল জাহানাবাদ সেনানিবাস চাকুরীতে যোগদান করতে যায় সাজ্জাত হোসেন ও কবির হোসেন । এ সময় জানতে পারে ওই নিয়োগ-পত্র ভুয়া। পরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক বার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে তাদের টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তালবাহানা করতে থাকেন সেনা সদস্যের বাবা সাইদুর রহমান ও চাচা মজনু মিয়া। টাকা উত্তেলনে ব্যর্থ হয়ে ২০২১ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাত হোসেনের বাবা খলিলুর রহমান বাদি হয়ে সেনা সদস্য শাহ আলমসহ তার বাবা সাইদুর রহমান ও চাচা মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
উপজেলা সদর ভাড়া বাসায় অবস্থানরত সেনা সদস্য শাহ আলমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম জানান, তার স্বামী শাহ আলম ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৫ বছর ধরে কুয়েত মিশনে রয়েছেন। শাহ আলমকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। চাকরির দেয়ার নামে শশুর ও চাচা শশুর টাকা নিয়েছে। এ মামলায় তার শশুর সাইদুর রহমান ও চাচাশশুর মজনু মিয়া আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছে।
সেনা সদস্যের বাবা সাইদুর রহমান ও চাচা মজনু মিয়া বাড়ীতে থাকেন না। তারা দুজই বর্তমানে ঢাকায় চলে গেছেন পরিবারের সদস্যরা জানান । তাই তাদের বক্ত্যব নেয়া সম্ভব হয়নি।