জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গরম তেলে দগ্ধ নারী স্বর্ণা বেগমকে (৩৫) মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে নির্যাতনকারী স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।গত শুক্রবার মধ্যরাতে সাভার থানার জিরানী এলাকার ভাড়া বাসায় যৌতুকের দাবীতে ঘুমন্ত স্ত্রী অবস্থায় তা শরীরে গরম তেল ঢেলে দেয় পাষন্ড স্বামী সেজনু মিয়া (৪০)। শনিবার সকালে তাঁকে সরিষাবাড়ীতে আনা হয়।
জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা বাজার এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে সেজনু মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী কাজীপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে স্বর্ণা বেগমের ১৫ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাঁর জামাই মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিল। এ ব্যাপার ইতোপূর্বে আদালতে মামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপাষ-মীমাংসা করে মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
স্বর্ণা বেগমের মা শিরিনা বেগম জানান, মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠানোর পর পুণরায় নির্যাতন শুরু হয়। স্বর্ণা বাধ্য হয়ে জিরানী গিয়ে গার্মেন্টে চাকরি নেন। মেয়ের ঠিকানা সংগ্রহ করে শুক্রবার সেজনু সেখানে যায়। তারপর ঘুমন্ত অবস্থায় সে তার স্ত্রীর শরীরে গরম তেল ঢেলে দেয়।স্বর্ণা বেগম জানান, সেজনু রাতেই তাঁকে জিরানী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। শনিবার সকালে তাঁকে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নেয়। তারপর ফেলে রেখে স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা জামান তিথী জানান, ঝলসে যাওয়া নারী স্বর্ণাকে আমরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেই। তেলের ছ্যাঁকায় তাঁর যৌনাঙ্গসহ শরীরের ৬০ ভাগ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হক বলেন, ঘটনাটি এখন পর্যন্ত কিছু জানি না।