জামালপুর

জামালপুরে রেলওয়ে ওভার পাস: বদলে যাবে শহরের চিত্র

মুহাম্মদ বিপুল হোসেন, জামালপুর:

জামালপুর শহরকে আলোকিত করেছে রেলওয়ে ওভারপাস। শহরের ব্যস্ততম এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়তো শহরে আসা সাধারণ মানুষ। থমকে গিয়েছিল এ এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যসহ যাতায়াত ব্যবস্থা।

ওভারপাসটি নির্মাণের ফলে মানুষের ভোগান্তি কমেছে, পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। ওভারপাসে সুবিধাভোগীরা বলছেন, জামালপুর রেলওয়ে জংশন এবং বাস পরিবহন এক রাস্তায় থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের শিকার হতে হয়েছে। রোগীসহ ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল। এখন জামালপুর শহর যানজট মুক্ত হয়েছে। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক জানিয়েছেন, ওভারপাসটির কাজ শতভাগ শেষ করে এখন কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে  জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।

প্রতি ঘণ্টায় ট্রেন চলাচলের কারণে জামালপুর শহরের প্রধান সড়কের গেটপাড় এলাকায় প্রতিদিন যানজটে জনদুর্ভোগ দূর করতে ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে এ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে জামালপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তমা কনস্ট্রাকশন, মেসার্স জামিল ও মইন উদ্দিন প্রকল্পের কাজ শুরু করে।  প্রকল্পে ৭৮০ মিটার ওভারপাসসহ দুই পাশে পাকা সড়ক নির্মাণসহ জমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পের ব্যয় হয় ২১১ কোটি টাকা।

পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৫৯ কোটি টাকা জমি অধিগ্রহণে এবং ৬৪ কোটি টাকা ওভারপাস ও সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে। ইতিমধ্যে ওভারপাস কাজ শতভাগ শেষ  হয়েছে। কাজ শেষ করতে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চতুর্থবার মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে কাজের ধীরগতি হয়েছে।

রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণে সুবিধাভোগীরা বলছেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে গেটপাড়। এটা খুবই ব্যস্ততম এলাকা। এখানে রেলওয়ে বাসস্ট্যান্ড সবগুলোর একটাই শহরের সংযোগ সড়ক। রেলওয়ে ওভারপাস হবার কারণে আমরা খুবই আনন্দিত। দীর্ঘদিনের যে ভোগান্তি যানজট নিরসন হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।হাসপাতালে রোগী নিতে গেলে দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে থাকতো। দেড় ঘণ্টা দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হতো। ওভারপাসটি হবার কারণে মুহূর্তেই যেতে পারছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।

জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় যানজট মুক্ত করতে এই প্রকল্পটি জমি অধিগ্রহণসহ ব্যয় হয়েছে ৪২৩ কোটি টাকা।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker