জামালপুর

পৌর কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জমি বেদখল করে ‘ব্যক্তিগত রাস্তা’ নির্মাণের অভিযোগ

স্বপন মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিল মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল করে নিজের বাড়ীতে যাওয়ার ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ২৮ জুলাই বিকালে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাউসী চন্দনপুর খানবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মৃত খাইরুল আলম খান এর ২ ছেলে ৩ মেয়ে। তন্মধ্যে বড় ছেলে হাফিজুর রহমান খান মৃত্যুবরণ করেছে এবং ছোট ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান চপল খান চাকুরীরত স্থানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। 

তাই তিন মেয়ে নাজমা ও আফরোজা খানম চিন্তা করে তাদের মাকে গ্রামের বাড়িতে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দিবে। মায়ের জন্য সেই পাকা ঘর নির্মাণ করতে এসেই বাদে-বিপত্তি। যে জায়গায় তারা ঘর নির্মাণ করবে সেই জায়গার উত্তর পাশ দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা চেয়ে বসে একই এলাকার নির্বাচিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন। এই নিয়ে গত তারিখে জোরপূর্বক মাটিকেটে রাস্তা তৈরি করেন কাউন্সিলর মোশারফ। পরে এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এই নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী এই বিষয়টি মীমাংসা করা চেষ্টা করলে কোন সুফল আসেনি। পরে খায়রুল আলম খানের ছোট মেয়ে নাজমা খানম বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।

এঘটনায় নাজমা ও আফরোজা খানম বলেন, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি হতে পাওয়া জমিতে বৃদ্ধ মায়ের জন্য একটি বাড়ী নির্মাণ করছিলাম। কিন্তু কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন হঠাৎ একটি অঙ্গীকারনামা নিয়ে এসে আমাদের বাড়ী নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করে এবং আমাদের বাড়ী নির্মাণের ব্যাচ ঢালাইগুলো সে বেকু দিয়ে ভেঙে ফেলেছে। 

আমরা জানি না, আমার ভাই কখন কিভাবে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে। তাহলে সে তার অংশ থেকে তাকে রাস্তার জায়গা দিব, এতে আমাদের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমাদের অংশ হতে, তাকে কোন জায়গা দিব না। বিষয়টি পৌর মেয়র অবগত আছেন এবং থানায় অভিযোগ দেওয়া আছে। 

এদিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন বলেন, তাদের ভাই চপল খানকে আমি রাস্তার জন্য টাকা দিয়েছি। এটা আমার এলাকাবাসি অনেকেই সাক্ষী আছে। আমি অবৈধভাবে কোন রাস্তা চাচ্ছি না। আমার সাথে চপল খানের চুক্তিনামা আছে বলেই রাস্তার জন্য আমি বাধা সৃষ্টি করেছি এবং রাস্তা বের করেছি। এই রাস্তাটির জন্য পৌরসভা হতে ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পৌর মেয়র এবং বাকি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আমি যোগ করি রাস্তাটি নির্মাণ করেছি। এটি আমার ব্যক্তিগত কোন রাস্তা নয়, এটা জনগণের সকলের রাস্তা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মনির উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন, ‘কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনের বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মুহাব্বত কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জনসংক্রান্ত বিধায় উভয়পক্ষকে শান্ত থেকে তাদের ডকুমেন্টস নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। আমরা কাগজপত্র দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা 

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker