স্বপন মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি পরিমাপকারী (আমিন) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জমি পরিমাপের নামে বিবাদ তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জমি জবরদখল করাই তার কাজ। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা গ্রামের মৃত আমির আলী মুন্সির ছেলে আনোয়ার হোসেন। তিনি পিংনা ইউনিয়ন পরিষদ প্রায় ৩৫ বছর ধরে জমি পরিমাপকারী (আমিন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসার সুযোগে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে আসছেন। বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে জমির সঠিক পরিমাপ না করে বিরোধ না মিটিয়ে ঝিঁইয়ে রাখেন আনোয়ার। নানা বাহানা সময় ক্ষেপান করে ফাঁয়দা লুটেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, বিরোধকে পুঁজি করে সুযোগ বুঝে ওই বিরোধপূর্ণ জমি নিজের বলে দাবি করে জবরদখল করেন তিনি।
জমি জবরদখল করতে নানা ভয়-ভীতি দেখানোসহ জমির মালিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি। এছাড়া জমির মালিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আনোয়ার। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ পিংনা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলেও জানান তারা।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে সুজাত আলী বলেন, কাওয়ামারা গ্রামে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৩০ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছেন। ২০২১ সালে আনোয়ার হোসেন ওই জমির ১৩ শতাংশ জমি তার বলে দাবি করেন। পরে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
একই এলাকার আব্দুল আওয়াল অভিযোগ করে বলেন, মাপের মাধ্যমে জমি সাত-পাঁচ করে ঝামেলা লাগানোই আনোয়ারের কাজ। সে ঝামেলা লাগিয়ে দুপক্ষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়া ফরিদ মিয়া, আসাদুজ্জামান, তুহিন, রফিকুল ইসলাম সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আনোয়ার জমি জবরদখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তার কারনে কাওয়ামারা গ্রামের সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। এ কারনে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ভূমি পরিমাপকারী (আমিন) আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘গরীব মানুষ কখনো জমি জবরদখল করতে পারে না। সমাজের প্রভাবশালীরাই হলো জমি চোর।
এ-বিষয়ে পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন তার ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত আমিন। ইতিমধ্যে সে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
এ-ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।