মুহাম্মদ বিপুল হোসেন, জামালপুর:
জামালপুর সদর উপজেলায় লক্ষীরচর ও তুলশিরচর ইউনিয়নসহ বিশাল এক জনপদকে আলাদা করেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। নদটি পারাপারের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। যে কারণে ভোগান্তির অন্ত নেই এই অঞ্চলের মানুষগুলোর।
একটি সেতুর অভাবে সকল নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুর্ভোগ নিত্য সঙ্গী স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের। কেউ অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় স্বজনদের। কেননা এই অঞ্চলের নদী পারাপারের জন্য মাত্র দুটি নৌকা রয়েছে।
যা এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের সেবা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হয়।সেতুটি না থাকায় এই অঞ্চলের কৃষি পণ্য পরিবহনের ব্যাঘাত ঘটছে। উৎপাদিত কৃষিপন্য সহজে কৃষক মাঠ হতে বিক্রি করতে পারে না।এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যায় এতে অনেক সময় লোকসানের সম্মুখীন হয়।
স্থানীয়রা বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা হলে আমাদের খুব উপকার হবে। সেতু নির্মাণ হলে সহজেই জেলাশহর সহ বিভিন্ন স্থানে যেকোন সময় নৌ ঝামেলা ছাড়া সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারবো।কৃষিপণ্য গুলো খুব সহজে দেশের বিভিন্ন কাচাবাজারে পাঠানো সম্ভব হবে। এতে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবে এবং কৃষিতে লাভের মুখ দেখবে।
অবশেষে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় খুশি অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। সেতুটি নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।৬০৬ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছ একশত ছয় কোটি বিরাশি লাখ টাকা। ২০২৫ সালের ৩০ আগষ্ট সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেতুটি নির্মাণ করা হলে নান্দিনা, লক্ষীরচরসহ পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলা ও প্রতিবেশী টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ধনবাড়ী উপজেলার মানুষ চলাচলসহ অনেক সুবিধা পাবে।
জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান- আশা করি সেতুটি নির্ধারিত সময়ের মধ্য কাজ শেষ হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই চরাঞ্চলসহ জামালপুর ও শেরপুর জেলার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে।কৃষিতেও উন্নয়ন ঘটবে।