জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে রত্না বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে চেয়ারে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার মধ্যরাতে মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকালে রত্না বেগমের বড় ভাই সাইদুর রহমান সাজু বাদি হয়ে মুজিবর রহমানকে প্রধান আসামি এবং ২/৩ জনকে অজ্ঞাত করে ১১জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের কুদুলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মজিবর রহমানের সাথে ১৬ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের উচ্চ গ্রাম এলাকার মমতাজ উদ্দিনের মেয়ে রত্না আক্তারের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের তিথি (১৫) নামে এক মেয়ে ও মাহিন (১১) নামে এক ছেলে রয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝিতে স্বামী মজিবর রহমান অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রত্না বেগম বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে ৪দিন আগে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলেন মজিবর রহমান।
খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ীতে এলে মজিবরের পরিবারের লোকজন তাকে চেয়ার বেঁধে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। রত্না বেগমের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনা আঁচ করতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ রত্না বেগমকে উদ্ধার করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারের সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মহব্বত কবির জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।