জামালপুর শহরের তমালতলায় প্রাক্তন স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন কে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে মারাত্মক জখম করেছে শাহীন আলম নামে তার সাবেক স্বামী।
আহত সাবিনা কে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্হানান্তর করেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ শাহীন আলম কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেন।
আজ (২৮ আগষ্ট) শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে জামালপুর পৌর শহরের তমালতলায় জনবহুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শাহীন আলম শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার গুরুচরণ এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। সাবিনা ইয়াসমিন জোকাকুঁড়া এলাকার সালেহ আহমেদের মেয়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন জামালপুর শহরের মুন নার্সিং হোমে নার্সিং বিভাগে অধ্যয়নরত এবং সিটি হাসপাতালে ইন্টার্নি করছেন।
সাবিনা নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে শাহীন আলমের সাথে পরিচয়, প্রেম পরবর্তীতে বিয়ে।
তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয় যার স্হায়ীত্বকাল ছিলো মাত্র আড়াই মাস।
সাবিনা ইয়াসমিনের বান্ধবী সুমি আক্তার জানান, বিয়ে আড়াই মাস পরেই শাহীন ও সাবিনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
কয়েকদিন ধরে শাহীন তাকে উত্ত্যক্ত করছিল।
বিকেলে কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় পেছন থেকে এসে ছুরি দিয়ে সাবিনার গলায় পোচ মারে এবং পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে শাহীন।
এতে সাবিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আল ইমরান জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারনে সাবিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে সাবিনাকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার পরেই শাহীনকে আটক করা হয়েছে।