জামালপুর

জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন; চলছে নানা হিসাব-নিকাশ

প্রায় সাড়ে সাত বছর পর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ২৮ নভেম্বর ২০২২ ইং জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। সম্মেলন ঘিরে জেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন-সমীকরণ।

সম্মেলনে প্রায় দুই লাখ নেতা–কর্মীর সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। ২০১৫ সালের ২০ মে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। সম্মেলনে আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সভাপতি এবং ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর ১ বছর পর গঠিত হয় ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

দলটির র্শীষ কয়েকজন নেতা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের হাতে জেলা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ।

তিনি নিয়মিত জামালপুরে আসেন এবং সব বিষয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। তাঁর নিয়ন্ত্রণের কারণে দলটিতে প্রকাশ্য অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেই। তবে ভেতরে ভেতরে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।

তবে মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, দলের ভেতরে বা বাইরে কোথাও ন্যূনতম দ্বন্দ্ব ও বিভেদ নেই। শৃঙ্খলার দিক থেকেও জেলা আওয়ামী লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত।

সম্মেলন ঘিরে জেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। তবে শীর্ষ দুই পদের মধ্যে সভাপতি পদে একক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর নামই শোনা যাচ্ছে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নামই সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।

তবে জেলার কয়েকজন শীর্ষ পদের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি পদে মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ একক প্রার্থী হলেও সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম জাফর ইকবাল ও সদস্য রেজাউল করিম রেজনুর নাম শোনা যাচ্ছে।

তবে মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর আপাতত বিকল্প নেই বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, আগামী নির্বাচন অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী নেতৃত্ব দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষ দুই পদের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে সক্ষম মনে হয় না।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক দীপু মনি, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও সদস্য রেমন্ড আরেং।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker