জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতভিটার জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুই জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১১জুন) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার বলারদিয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সুত্রে জানান, উপজেলার পৌরসভার বলারদিয়ার গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশি মৃত শামছুল হকের ছেলে শামীম মিয়ার মধ্যে বসতবাড়ীর তিন শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে বিরোধীপূর্ণ জমিতে প্রতিপক্ষ শামীম মিয়া ও তহর আলী দলবল নিয়ে দখল করতে যায়। এতে শফিকুল ইসলাম বাঁধা দেয়।
এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও বাঁশের লাঠি নিয়ে শামীম মিয়া ২০-২৫ জনের একটি পরিকল্পিত দল শফিকুল ইসলামের উপর হামলা করে। সংঘর্ষে দুইপক্ষের মধ্যে শফিকুলের পরিবারের নারীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত হয়। গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার মেরিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- শফিকুল ইসলাম (৪৫), স্ত্রী নাছরিন আক্তার মেরী (৩৫), ছালেহা বেগম (৭০), রফিকুল ইসলাম (৩০) ও মেহেদি হাসান।
চিকিৎসাধীন আহত শফিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির জমি আগে আমি ক্রয় করেছি। সেখানে জোরপূর্বক বসতঘর ভাংচুর ও জমি দখলের চেষ্টা করে শামীম। বাধাঁ দিলে দলবল নিয়ে আমার পরিবারের উপর হামলা করে।
আহতে ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, তার বড় ভাই আনিছুর রহমানের কাছ থেকে সে এবং শফিকুল ইসলাম ৩ শতাং জমি ক্রয় করেন। সেই শামীম মিয়া জোরপূর্বক দখল করতে চান। আমরা বাধাঁ দিলে আমাদের উপর হামলা করেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ-ঘটনায় অভিযুক্ত শামীম মিয়া ও তহর আলীর সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টায় কলেও তাদের পাওয়া যাইনি। শোনা যায় তারা পুলিশের ভয়ে গা ডাকা দিয়েছে।
এ-বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর শাজাহান আলী সাধু বলেন, আমি ঢাকাতে আছি। বিষয়টি শুনেছি ফোনে, তাদের আবাদত চিকিৎসা গ্রহণের কথা বলেছি। তার পর এলাকায় গিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার এস আই মোর্শেদ আলম বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
