‘এই বয়সেতো’ পরিষদে অনেক চেয়ারম্যান’গো দেখলাম, তারা কেবল তাগোরে নিয়া ভাবছে। দেখি এইবার নতুন চেয়ারম্যান, নতুন চেয়ারে বসে ডোয়াইল ইউনিয়নের কি পরির্বতন করতে পারে। আমরা সাধারণ জনগন আশা নিয়াইতো আব্দুর রাজ্জাক স্বপনকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে ডোয়াইলের চেয়ারম্যান বানাইছি। দেহি ইউনিয়নবাসীর কতখানি কল্যাণ সে করতে পারে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ষাটোর্ধ বছর বয়সী আব্দুর রশিদ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন। শুধু তিনি নন। তার মতো অনেকেই ভাবছেন দেখি নতুন চেয়ারম্যান কি উন্নয়ন করতে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন অনেকেই বলেন, অনেকে সত্য বলতে ভয় পায়। ইতিপূর্বে সাবেক চেয়ারম্যানরা আমাদের ইউনিয়নের জন্য কি করেছেন, কিছুই করেনি। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিত্যক্তার ভাতা কোনটাই টাকা ছাড়া হয়নি। এমনকি ভিজিডি-ভিজিএফের কার্ড পেতেও টাকা দিতে হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ সংগ্রহে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে কয়েকগুন বেশি দিতে হয়েছে। ওই সব কার্ড সংগ্রহ করতে মাসের পর মাস হয়’রানির শিকার হতে হয়েছে সাধারন মানুষের।
এ ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা এখনো কাঁচাই রয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে সেগুলোতে চলাচল করা ঝুঁকিপুর্ন। বৃষ্টিতে কোন কোন রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। এসব বিষয়ে আগের চেয়ারম্যানরা কোন খবর রাখেননি।
তবে এসবের উর্ধে থেকে নতুন চেয়ারম্যান তার কার্যক্রম চালিয়ে এ ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাবেন বলে আশা করেন তারা।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক স্বপন। তিনি চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান হিসেবে শপদ গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে ডোয়াইল ইউপি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন বলেন, ইতিমধ্যে ডোয়াইলবাসীর সার্বিক সেবা দেওয়া এবং ডোয়াইল ইউনিয়নের কাচা রাস্তা-ঘাটের চিত্ররেখা পরিবর্তন করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেছি।
তিনি আরো জানান, এই ইউনিয়নের মাদক, দুর্নীতিকে প্রশ্চয় দেওয়া হবে না। এছাড়া প্রয়োজনীয় জন্ম সদন, মৃত্যু সনদ ইত্যাদি কাজে সরকারি ফিস ছাড়া কোন বাড়তি টাকা নেওয়া হবে না। আশা রাখি ইউনিয়নের উন্নয়নে কোন কমতি থাকবে না। সাধারন মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়েই আগামী ৫ বছর ডোয়াইলবাসীর জন্য উন্নয়নমুলক কাজ করে যেতে চাই।