জামালপুরে সেই ১২ পরীক্ষার্থীর স্বস্তি: প্রবেশপত্র পেয়ে দিলেন পরীক্ষা
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় ভোগা জামালপুরের প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী অবশেষে স্বস্তি পেয়েছে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের ত্বরিত পদক্ষেপের কারণে তারা রবিবার (২৯ জুন) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে।
অবশেষে এইচএসসি পরীক্ষার আসনে বসার সুযোগ পেয়েছে জামালপুরের **প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১২ শিক্ষার্থী**। প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা কাটিয়ে তারা রবিবার (২৯ জুন) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে কলেজে গিয়ে ওই পরীক্ষার্থীরা জানতে পারেন তাদের প্রবেশপত্র প্রস্তুত হয়নি। শিক্ষার্থীরা তখন কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজের গাফিলতির কারণে শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। পরদিন শুক্রবার (২৭ জুন) ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে একটি তদন্ত কমিটি পাঠায়। তদন্ত শেষে কর্মকর্তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও প্রবেশপত্র ইস্যুর কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
এ প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার (২৮ জুন) রাত ১০টার দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশপত্র তুলে দেয়। এর ফলে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে তারা রবিবার থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি **ওয়াহিদুর রহমান** বলেন, “বোর্ডের সহায়তায় ১২ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে এটাই বড় বিষয়। আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।” তিনি জানান, প্রথমে ১৭ শিক্ষার্থীর বিষয়টি জানানো হলেও প্রকৃতপক্ষে ১২ শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফরম পূরণ নিশ্চিত করা হয়। এদেরকেই প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক **প্রফেসর সৈয়দ আক্তারুজ্জামান** বলেন, “শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করাই আমাদের অগ্রাধিকার। কোনো শিক্ষার্থী যেন অপ্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে আমরা সদা সচেষ্ট। নিয়মের মধ্যে থেকেই সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।”
এ ঘটনায় অভিভাবকরা স্বস্তি প্রকাশ করে জানান, দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধান করায় বোর্ড ও কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা।