মাদারীপুর জেলা স্টেডিয়াম এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য! প্রশাসনের নীরবতায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা
একসময়ের প্রাণবন্ত ক্রীড়াঙ্গন মাদারীপুর জেলা স্টেডিয়াম এখন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি চলে। স্টেডিয়ামের পাশেই মাদারীপুর সদর থানা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা জনমনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা স্টেডিয়াম একসময়ের প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ ক্রীড়াঙ্গন ছিলো, কিন্তু এখন রূপ নিয়েছে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে স্টেডিয়ামে বসে মাদকের আসর, চলে প্রকাশ্যেই মাদক সেবন ও বিক্রি। অথচ এই স্টেডিয়ামটির পাশেই অবস্থিত মাদারীপুর সদর থানাটি। তবুও প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়ে এই মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এ সময়ে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন কোণায় বসে গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিল সেবনের দৃশ্য এখন যেন নৈমিত্তিক ব্যাপার। মাদকের এই অবাধ বিস্তারের পেছনে পুলিশের নীরব ভূমিকাই প্রধান কারণ বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমরা শিশুদের নিয়ে মাঠে যেতে পারি না। ভয় হয় কখন কী হয়ে যায়। স্টেডিয়াম এখন আর খেলার জায়গা নেই, হয়ে উঠেছে মাদকের হাট।”
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা **এডভোকেট মাসুদ পারভেজ** বলেন, “প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুরো যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বারবার, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।”
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) **আদিল হোসেনের** দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি দায় এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “কাজটি শুধু পুলিশের একা নয়।” তাঁর এই নীরবতা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে—প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাই কি মাদকের এতোটা বিস্তারে ভূমিকা রাখছে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, অবিলম্বে স্টেডিয়ামে পুলিশি টহল ও নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে। একইসঙ্গে ওসি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করারও দাবি জানান তারা।