দেবহাটায় স্বামীর পরিবার কর্তৃক নির্যাতিত ও পিতার বাড়িতে তুলে দেওয়ায় বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক অসহায় নারী। বর্তমানে সুবিচারের দাবিতে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত তৈমুর রহমানের মেয়ে আশুরা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে আশুরা খাতুন জানান, গত ৭ বছর পূর্বে কোড়া গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ওবায়দুল্লাহ মান্নানের সাথে বিবাহ হয়। সে সময় আমার পিতা-মাতা সংসারিক সকল আসবাবপত্র সহ মোটরসাইকেল কেনার জন্য নগদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, গলার স্বর্ণের চেইন, স্বামীর স্বর্ণের আংটি, শোকেজ, আলনা সহ সর্বমোট সংসারের প্রায় ৪ লক্ষ টাকার জিনিস প্রদান করেন। বিয়ের পর কিছুদিন ভাল গেলেও পরবর্তীতে আমার স্বামী নির্যাতন ও মারধর করতে থাকে। গত ২ বছর পূর্বে আমার পিতা হার্ড অ্যাটাক করে মৃত্যুবরন করায় আমার অভিভাবকের দুর্বলতার সুযোগে তারা আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বহু গুনে বাড়িয়ে দিতে থাকে। আমাকে সন্তান না নেওয়ার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন দিতে থাকে। এরই মধ্যে প্রায় ১ বছর পূর্বে স্বামী গোপনে পুনরায় অন্যত্র বিয়ে করে সেখানে যাতায়াত করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রমজানের ঈদের পরে আমাকে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে আর কোন খোঁজ খবর নেয় না। বর্তমানে পিতার বাড়িতে মানবেতর জীবন পার করছি। আমি স্বামীর সংসার পুনরায় ফিরে পেতে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষ হাজির হলে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.