দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এ বছরও ইউরোপের বাজারে যেতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার বিষমুক্ত গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর আম। ইতোমধ্যে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়েছে ইংল্যান্ড, সুইডেন ও ইতালিতে। সাতক্ষীরা থেকে ল্যাংড়া ও আম্রপালি আমও বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার আম রপ্তানি শুরু হয়। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, এনএইচবি করপোরেশন, জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও এসিআই লজিস্টিক লিমিটেডের মাধ্যমে এ আম রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা থেকে ৩০০ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও দেবহাটা উপজেলার ৩০০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আর এ পর্যন্ত সাতক্ষীরা থেকে ৫০ টন আম ইউরোপের বাজারে রপ্তানি হয়েছে।
ঢাকার আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তাসিন এন্টারপ্রাইজের সহকারী ব্যবস্থাপক হযরত আলী জানান, ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার হিমসাগর ও গোবিন্দভোগের আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে এবার আমের উৎপাদন ভালো না হওয়ায় রপ্তানিযোগ্য আম সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল এলাকার আমচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ২৫ বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। কিন্তু এবার আম ভালো হয়নি। এ জন্য মাত্র চার টন গোবিন্দভোগ ও দুই টন হিমসাগর আম বাইরে পাঠাতে পেরেছি। এবার দাম পাওয়া যাচ্ছে ভালো। গত মৌসুমে যে আম ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ বিক্রি করেছিলাম, এবার তার দাম ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা পাচ্ছি।
তবে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি দাবি তুলে বলেন, ‘সাতক্ষীরার আম আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে বেশ আগে পাকে এবং স্বাদে ও মানে অনন্য। কিন্তু রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হতে বেশ দেরি হয়ে যায়। আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে সাতক্ষীরা থেকে হাজার হাজার টন আম রপ্তানি সম্ভব।’
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালে অনেক গাছের আমে দাগ হয়ে গেছে। এ ছাড়া এবার আমের সাইজও আকারে ছোট। তাই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.