নিহত সম্রাট খান (২৫) ঈশ্বরদী পৌর শহরের মধ্য অরণকোলা (আলহাজ্ব ক্যাম্প) এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে।
এ ঘটনায় সীমা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই কন্যা সন্তানের জননী সীমা বর্তমানে অন্তঃসত্তা।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, নিকিমথ কোম্পানির পরিচালকের গাড়ির চালক ছিলেন সম্রাট খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাডো গাড়ি নিয়ে অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবার ও অফিসের লোকজন শুক্রবার সকাল থেকে সম্রাটকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে থানায় অভিযোগ করে তারা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে আইন মেনেই সব করছে পুলিশ : আইজিপি
সন্ধ্যার দিকে জানা যায়, সম্রাট খান নিকিমথ কোম্পানির আরেক গাড়ি চালক উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের বাড়িতে গিয়েছিল। রাত ৯টায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায় এবং আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
আরো পড়ুন: গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান প্রধানমন্ত্রী
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সীমা খাতুন স্বীকার করে যে সম্রাটকে তিনি হত্যা করেছেন। আর লাশ বস্তায় ভরে প্রাডো গাড়িতে তুলে স্বামী মমিন নিয়ে গেছে। এরপর রাতভর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান চালিয়েও সম্রাটের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল ৯টার দিকে পাবনার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে গ্রাডো গাড়ির মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে চালক সম্রাটের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন: সারা দিন লাশ তুলে অসুস্থ, যা ঘটেছিল সেই রাতে
ওসি জানান, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।