বেনাপোল

বেনাপোল স্বলন্দরে চাঁদাবাজি বন্ধে ১১ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি

বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বন্দর নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা আদায় বন্ধে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সহযোগীতা চেয়ে আবেদন করেছে একটি বানিজ্যিক সংগঠন। একই সাথে বন্দরে পণ্য খালাসে আধুনিক সুবিধা যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদাবাজি বন্ধে ১১ টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেন বানিজ্যিক সংগঠন বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সী মালিক সমিতি ও যশোর জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।

চাঁদাবাজি বন্ধে অবহিতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেনাপোল স্থলবন্দর, বেনাপোল কাস্টমস, জেলা প্রশাসক যশোর, পুলিশ সুপার যশোর, বেনাপোল পোর্টথানা, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন।

আমদানি কারক কামাল হোসেন জানান, দ্রুত পণ্য খালাসে নতুন, ক্রেন ফর্কক্লিপ যুক্ত করা জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে পণ্য খালাসে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুন সময় লাগছে। আর শ্রমিকদের বকশিস আগে ৫শ’ টাকার মধ্যে ছিল এখন তা বেড়ে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়েছে।  যা নিয়ে মাঝে মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।

বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী জানান, বন্দর থেকে শ্রমিকরা যে পণ্য খালাস করেন তার মজুরী ব্যবসায়ীরা বন্দরকে বিলের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। কিন্তু বন্দরের শ্রমিকরা হয়রানি ও জোর করে ট্রাক প্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করে।  যার প্রভাব পড়ে আমদানি পণ্যের উপর। বিভিন্ন সময় এ চাঁদাবাজি বন্ধের অনুরোধ জানানো হলেও কাজ হয়নি। অবশেষে ন্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করে প্রতিরোধ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বন্দরে পণ্য খালাসে ক্রেন, ফর্কক্লিপের সল্পতার কথা শিকার করে জানান, সরবরাহ বাড়াতে কাজ চলছে। আর শ্রমিক চাঁদাবাজির বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। কোন ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলে তা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

অভিযোগকারি সংগঠনের তথ্য মতে, বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্য উঠা-নামানোর কাজে ৯২৫ ও ৮৯১ দুটি শ্রমিক ইউনিয়নের অধিনে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক রয়েছে। এসব শ্রমিকরা দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের হয়ে পণ্য খালাসের কাজ করে থাকে।

তারা আরো জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে গড়ে ৬শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য খালাস হয়। যদি ট্রাক প্রতি ১ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হয় তাহলে দিনে চাঁদার পরিমান দাঁড়াচ্ছে ১  লাখ ৮০ হাজার টাকা আর মাসে ৫০ লাখের মত।  বছর হিসাবে এর পরিমান ১৫ কোটির কাছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker