বেনাপোল

বেনাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ব, নারী শিশু পাচার, সীমান্ত হত্যা রোধ নিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডর পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন। রোববার (১৮) জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টার সময় দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি ক্যাম্পে) বেনাপোল কোম্পানী সদরে।

এর আগে সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্প সংলগ্ন নো-ম্যান্সল্যান্ডে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের উভয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। এরপর বেনাপোল কোম্পানি সদরে বিএসএফ প্রতিনিধিদের গার্ড অব অর্নার দেন বিজিবি সদস্যরা।

বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ এর ১০ সদস্যর (বিজিবির) পক্ষে নেতৃত্ব দেন খুলনা রিজিওনাল কমান্ডার মামুনুর রশিদ (পিএসসি)। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার কামরুল আহসান, সাহেদ মীনহাজ সিদ্দিকী, তানভির রহমান, এ্যাডিশনাল ডেপুটি এ্যাকশান কমান্ডিং অফিসার এস কে এম কফিল উদ্দিন, সৈয়দ আব্দুর রউফ, রিজাউল হান্নান শাহিন, সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার আবু সাইদ সর্দার ও আজমাল হোসেন।

অপরদিকে ভারতের ১১ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর কমান্ডার জেনারেল, সেক্টর কমান্ডার কোলকাতার রাজেশ কুমার , কমান্ডিং অফিসার পিকে ত্রিপদি, অনুরাগ মনি, অলোক কুমার, নারায়ন চাঁদ, আব্দুল হান্নান খান, এইচ টি টুমার, স্টাফ অফিসার অভিনাশ কুমার, স্টাফ অফিসার পিকে ঠাকুর, কোম্পানি কমান্ডর নরেনদ্র কুমার ও অখিল আক্তার।

সম্মেলন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিজিবির প্রতিনিধি দলের প্রধান খুলনা সেক্টার কমান্ডার মামুনুর রশিদ বলেন, দু’দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সব সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধানও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

এছাড়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, গুলি, মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ ইত্যাদি চোরাচালান রোধ, বিএসএফ, ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, যৌথ টহল এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থাবৃদ্ধির বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দপূণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker