যশোরের শার্শা উপজেলায় পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় ৩০টি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শার্শা উপজেলার জামতলার ওরিয়েন্টাল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান যশোরের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান।
আটককৃতরা হলেন- রবিন (৩৫) ও আবুল কাশেমকে (৩৫)। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামে।
নিহতের নাম- ওলিয়ার রহমান অরফে অলি। তিনি পুটখালী গ্রামের জাহান আলীর ছেলে।
এএসপি জুয়েল বলেন, ভারতে স্বর্ণ পাচারের গোপন খবরে যশোর ডিবি পুলিশ ও শার্শা থানা পুলিশ যৌথভাবে চেকপোস্টে অভিযান চালায়। এ সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরমুখী একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার আসে। টহলদল তাদের থামার নির্দেশ দিলে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিরা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের কাছে স্বর্ণ থাকার কথা ‘স্বীকার করেন’।
ওই সময় হাইওয়ের দু’পাশ থেকে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলে করে আসা প্রায় ৫০-৬০ জন যুবক পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আত্ম রক্ষার্থে পুলিশ গুলি এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
তখন হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, পরে মোটরসাইকেলের পাশে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আটক রবিনের শরীরে তল্লাশি করে ৫ কেজি ২১৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ পাওয়া যায়।
এ সময় প্রাইভেটকার তল্লাশি করে তার মধ্যে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা আরো সোনার বার পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বার, যার বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি টাকা, যোগ করেন এএসপি জুয়েল ইমরান।
স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং ওই দুই আসামিসহ আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে।