বেনাপোল স্থলবন্দরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৬৫ আনসার সদস্য প্রত্যাহার
বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে প্রথম ধাপে ৬৫ জন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আনসার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৬৫ জন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রথম ধাপে এই ৬৫ জন আনসার সদস্যকে শাস্তিমূলকভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়।
বেনাপোল বন্দরে সদ্য যোগদানকারী আনসার কমান্ডার শ্রী অসিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। আনসার ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে মোট ১৬৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত আছেন। প্রথম ধাপে ৬৫ জন বদলি হলেও পরবর্তীতে অন্যান্যদেরও বদলি করা হবে।
কয়েকদিন আগে বন্দরে প্রবেশের বিভিন্ন গেট থেকে ‘বকশিশের নামে’ ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা আদায় এবং বন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। ট্রাক থেকে আনসার কর্তৃক চাঁদা নেওয়ার সত্যতা পাওয়ার পর এই প্রথম ধাপে ৬৫ আনসার সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
জানা যায়, বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্যের নিরাপত্তা এবং পণ্যবাহী ট্রাকের গেটপাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে ১৬৩ জন আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ‘পিমার’ ১২৯ জন সদস্য। বন্দরে ট্রাক প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ‘বকশিশের নামে’ ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ এই দুই নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধেই রয়েছে।
অবশেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে কর্তৃপক্ষ চাঁদার বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় বেনাপোল বন্দর থেকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যেকোনো সময় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।