ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সালমা (২৫) (বিবাহিত), স্বামী- খাদেম (প্রবাসী), পিতা মো: নান্নু মিয়া, মাতা- মমতা বেগম, গ্রাম- বেতুয়া থানা- সখিপুর, জেলা- টাঙ্গাইল। সালমা গত ২০ নভেম্বর রোজ শনিবার তার বড় বোন লাভলীর বাড়ি বাসাইল থানা সুন্না গ্রামে থাকাবস্থায় দুপুর ২ টার সময় দুইটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তার দেবর মো: জাকির হোসেনকে বাসাইলে সালমার বোনের বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বললে, জাকির হোসেন সম্মতি প্রকাশ করে এবং তাকে নিতে যান।
জাকির হোসেন জানান, “আমার ভাবি সালমা ও ভাতিজা ইয়ামিন (৪) কে নিয়ে ভাবির বোনের বাড়ী যাওয়ার রাস্তা হতেই সিএনজি যোগে ৩ জন একত্রে বাসাইল আসি। তখন ভাবী সালমা বলেন, সখিপুরে একটি জরুরী কাজ আছে। তখন সকলেই আবার সিএনজি যোগে সখিপুর তালতলা স্ট্যান্ডে নামি। তারপর সুবর্ণা পার্লার থেকে একটু কাজ করে আসার কথা বলে আমাকে এবং আমার ভাতিজাকে কচুয়া রোডের একটি দোকানে বসতে বলে, তখন প্রায় বেলা ৪.৩০ ঘটিকা। আমি কৃষি ব্যাংকের নিচে একটি দোকানে বসি। আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর, ভাবী ফেরত না আসায় ভাতিজা কান্না করলে আমি ভাবি সালমাকে ফোন দেই কিন্তু তার ফোন বার বার ওয়েটিং দেখায়, একপর্যায়ে ফোন বন্ধ পাই। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও আমি ও আমার ভাতিজাকে নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন খোঁজ না পেয়ে সখিপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ী লোকদের পরামর্শে আলহাজ্ব ও সেলিম নামের দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে নিয়া থানায় যাই। সেখানে কর্তব্যরত অফিসারকে বিস্তারিত জানানোর পর সে পরামর্শ দেয় আরও খোজাখুজি কর, না পাইলে পরের দিন অভিযোগ কর। এদিকে ভাতিজার কান্নাকাটির কারণে আমি তালইকে খবর দেই। তিনি এসে আমার ভাতিজাকে নিয়ে যায়। আমি বাড়ীতে গিয়ে স্থানীয় দাড়িয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফকে ঘটনার বিষয় অবগত করি। তিনি বলেন থানায় অভিযোগ কর।
জাকির হোসেনের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী হওয়ায় নিরুপায় হয়ে তিনি পরদিন সকালে (২২ নভেম্বর, ২০২১ রোজ সোমবার) সখিপুর থানায় কবির মেম্বারকে সাথে নিয়া জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সখিপুর থানার এসআই সাজিউলের কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি বলে।
এদিকে জাকির হোসেন বলেন, আমার তালই নান্নু মিয়া মেয়েকে না পেয়ে বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।