কালিহাতীতে স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে গুম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। গুম হওয়ার পর কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর মা সুফিয়া বেগম। এ ঘটনার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও তার সন্ধান না পাওয়ায় শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তাকে উদ্ধার ও স্বামীর শাস্তির দাবিতে মরিচা বাজারে সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন আজাহার আলী চৌধুরী, শাহিন, আজাদ, মোশারফ হোসেন, জমশের, আব্দুস সামাদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল কদ্দুস ও গুম হওয়া গৃহবধূ নুরুন্নাহারের মা সুফিয়া বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন পারখী ইউনিয়নের পারখী গ্রামের মৃত হুরমুজ আলীর ছেলে হারুনের সঙ্গে নাগবাড়ী ইউনিয়নের মরিচা পাইকপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুর মেয়ে নুরুন্নাহারের বিয়ে হয় প্রায় ২০ বছর আগে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তাদের সংসারে রয়েছে ৪ টি সন্তান। স¤প্রতি গত এক বছর যাবৎ প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে নুরুন্নাহারের স্বামী হারুন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তারপর থেকেই নেমে আসে তার সংসারে অশান্তি ও ঘোর অন্ধকার। প্রায় এক মাস আগে নুরুন্নাহার তার স্বামী হারুন ও ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে প্রবাসীর নিজ বাড়িতে। এসময় স্বামী হারুন ক্ষীপ্ত হয়ে স্ত্রী নুরুন্নাহারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে নুরুন্নাহারকে উদ্ধার করে তার স্বামীর বাড়িতে রেখে আসে। এরপর থেকে নুরুন্নাহার নিখোঁজ। এবিষয়ে নুরুন্নাহারের মা সুফিয়া বেগম কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করার পর থেকে হারুন পলাতক রয়েছে। এতে করে এলাকাবাসী ধারণা করছেন হারুন তার স্ত্রী নুরুন্নাহারকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলেছে। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় এক মাসেও নুরুন্নাহার উদ্ধার না হওয়ায় প্রশাসনের কাছে নুরুন্নাহারকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.