স্বামীর অত্যাচারে লাবনীর জীবন অতিষ্ঠ, এমন ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের আগজোয়াইর গ্রামের মৃত মিন্টু মিয়ার ছেলের স্ত্রী লাবনীর সঙ্গে।
বাদীপক্ষের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৃত মন্টুমিয়া ছেলে মো: নজরুল ইসলামের সঙ্গে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক ২০১৭ সালে দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাবিন মূলে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও এক লক্ষ টাকা নগত দিয়ে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুক লোভী স্বামী, স্ত্রীর নিকট আরো চার লক্ষ টাকা বিদেশ যাওয়ার নামে যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীকে মারপিট করে। তবু ঘর সংসারের মায়ায় স্ত্রী লাবনী সকল অত্যাচার নিরবে সহ্য করে নেয়। তার কিছুদিন পর স্বামী বিদেশে চলে যায়। স্ত্রী স্বামীর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে প্রবাসী নজরুল ইসলাম দেশে ফিরে এসে স্ত্রীকে পুনরায় একই কায়দায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমন কি নজরুল ইসলামের পরকীয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্ত্রী লাবনী জানতে পায়। পাষণ্ড স্বামী সুকৌশলে গত ২৯ নভেম্বর রাত্রিতে স্ত্রীকে ব্যাপক মারপিট করে, অসুস্থ হয়ে পড়ে লাবনী, সকালবেলায় স্বামীসহ তিনজনে স্ত্রীকে ঔষধ খাওয়ানোর নামে, মুখে হারপিক ডেলে দেয়। গলার ভেতরে যাওয়ার পর কান্না কাটি করে ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে স্ত্রীকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে কালিহাতী থানার সহেদেপুর গ্রামের বাপের বাড়ি এসে তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, স্বামী নজরুল ইসলাম, কোহিনুর বেগম এবং হাফিজুল ইসলাম।