কালিহাতী

কালিহাতীতে স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। এসময় তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার আরও সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে, এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজ, জিতেন্দ্র বালা-বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি শামসুল হক কলেজ, এলেঙ্গা বিএম কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সরকারি শামসুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল কবীর, লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, এলেঙ্গা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম তালুকদার, জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা ও নিহত সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া প্রমুখ।

আরো পড়ুন: কালিহাতীতে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করা আহত মনিরের মৃত্যু

বক্তারা বলেন, এলেঙ্গাতে কিশোর গ্যাং ও বখাটেদের উৎপাত বেড়ে গেছে। ওরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ও অভিভাবকসহ সবাইকে, ওদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে আরও বড় অপরাধ সংঘটিত হবে। অপরাধী ও তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

আরো পড়ুন: সিঁড়ির নিচে কিশোরীর জবাই করা মরদেহ, পাশেই রক্তাক্ত কিশোর

নিহতের চাচা ফিরোজ মিয়া বলেন, সুমাইয়ার মতো আর কোন মেয়েকে যেনো এমন করুণ পরিণতির শিকার হতে না হয়।

এ সময় তিনি প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সুমাইয়া হত্যার সঠিক তদন্ত করা হচ্ছে না, তারা দায়-ছাড়া ভাবে কাজ করছেন। এ হত্যাকান্ডের সাথে আরও একাধিক ব্যক্তি অবশ্যই জড়িত আছেন।

এ সময় বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে ছাত্র- ছাত্রীরা বলে আমরা নিরাপদে চলাচলের নিরাপত্তা চাই। সুমাইয়া হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মনির ছাড়া হত্যা কিংবা পরিকল্পনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য গত ২৭ অক্টোবর, এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের (১৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার পর প্রেমিক মনির মিয়া (১৭) নিজেইে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে ঢাকায় চিৎিসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সুমাইয়া উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে এবং বখাটে মনির মিয়া মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker