টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে লন্ডন প্রবাসী ব্রিটিশ নাগরিক সোহরাব মিঞার তিন তলা বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষ। এসময় ৭টি দামি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, বাসার ভাড়াটিয়াদের ৩ ভড়ি সোনা ও ৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এসময় বাধাা দিতে গেলে ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আট টার দিকে সদর উপজেলার করটিয়া বেপারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই বাসার মালিক সোহরাব মিঞা।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক না থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হওয়ায় রোববার (১১ আগষ্ট) সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী বাসার মালিক সোহরাব মিঞা জানান, গত মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পরে মাসলা নিয়ে ইমাম সাহেবের সাথে কথা কাটাকাটি হয় সোহরাব মিঞার। সেই সুযোগে পুর্বে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় প্রতিবেশী হাফিজ উদ্দিন, মোহাম্মদের ছেলে ছোট সাব্বির, রহমতের ছেলে মেরাজ, কাউছার ও পারভেজসহ স্থানীয় ২০-২৫ জন মিলে তার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এসময় ৭টি দামি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, বাসার ভাড়াটিয়াদের ৩ ভড়ি সোনা ও ৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে নেয়। এসয় তার নিকট আত্মীয়রা বাঁধা দিলে তাদের কুপিয়ে আহত করে। সেনাবাহিনী উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা টাঙ্গাইল শহরের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক এক এমপির লালিত ক্যাডার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে হামলাকারীরা এই এলাকায় বিভিন্নজনকে মারপিটসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
বাসার এক ভাড়াটিয়া জানান, সন্তানদের পড়ালেখার জন্য তারা ওই বাসায় বাড়া থাকতেন। মালিকের সাথে দ্বন্দ্ব নিয়ে তাদের বাসার টিভি, ফ্রিজ, আলমারীসহ দামি সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় কোমলমতী শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পরে। রাতে তারা ঘুমের ঘরে চিৎকার করে উঠে।
বাসার অপর ভাড়াটিয়া জানান, তিনি অফিস শেষে সবে মাত্র বাসায় এসেছেন এরই মধ্যে বিশ-পচিশজন লোক রাম দা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু বুজে উঠার আগেই তার রুমের সকল জিনিষপত্র ভেঙে চুরমার করে ফেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্র-ছোয়ায় থাকতো। এমন ঘটনা তারা প্রায়ই এ এলাকায় ঘটায়, নেতার ক্ষমতায় তাদের কেউ কিছু বলতে সাহস পেতো না। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
বার বার চেষ্টা করেও হামলাকারীদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।