টাঙ্গাইলের সখিপুরে একটি বিদ্যালয়ে জাল সনদ নিয়ে এক যুগ ধরে সহকারি শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে,সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নে ১৯৭৬ সালে সুরীরচালা আ.হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক রাস্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরী।
এ বিদ্যালয়ে পহেলা এপ্রিল ২০০৮খ্রিঃ তারিখে জাল সনদে সহকারি শিক্ষক(ইংরেজি) হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত এবং পহেলা জানুয়ারী ২০১১খ্রিঃ হতে এমপিওভুক্ত হন সহকারি শিক্ষক ফরিদ আহাম্মেদ। বিজ্ঞাপনে ইংরেজি নিয়োগ থাকলেও তিনি স্নাতক/স্নাতকোত্তর/অনার্স এর কোনটিতেও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান বা সনদ অর্জন করেন নাই,অথচ তিনি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে আছেন বলে দাবি জানান।
স্নাতক পর্যায়ে ৩০০ নম্বরের ইংরেজি সাবজেক্ট না থাকলে ইংরেজিতে নিবন্ধন করার সুযোগ আছে বলে প্রতিয়মান হয় না। সুতরাং ঐ সনদ জাল বা ভূয়া। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক হতে হলে স্নাতক/স্নাতকোত্তর/অনার্স (সম্মান)এর বিষয়ে ৩০০ নম্বরের ইংরেজি থাকতে হবে। তাছাড়া তার নিয়োগ,যোগদান, নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশনে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি লক্ষ করা যায়। উচ্চতর স্কেলের জন্য ওই শিক্ষক আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক তার ফাইলে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি লক্ষ্য করেন।
অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, বিধিমোতাবেক নিবন্ধিত হয়ে আমি উক্ত বিদ্যালয়ে ১২ বছর পূর্বে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে সুরীরচালা আ. হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহকারি শিক্ষক ফরিদ আহাম্মেদের বেতন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় এম.পি বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের বলেন, পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরিদ আহাম্মেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।