যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে সংযোগ সড়ক
দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চারটি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়ার সংযোগ সড়কটি যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চারটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। শনিবার সকালে সড়কটি ভেঙে কষ্টাপাড়া, গোবিন্দাসী, স্থলকাশি, রুহুলী, কয়েড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হু হু করে পানি ঢুকছে। এতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ ফসলি জমি।
জানা গেছে, ওই সড়কের দিয়ে উপজেলার চারটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। বন্যায় পানির তীব্র চাপে সড়কের ভালকুটিয়া এলাকায় ৩০ মিটারের মতো ভেঙে গেছে। পাশেই রয়েছে কোনাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। চলমান ষান্মাসিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ভেঙে যাওয়া অংশের পাশেই রয়েছে বিদ্যুতের তিনটি ট্রান্সফরমার। যেকোনো মুহূর্তে সেগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ সংযোগ। রাস্তাটি ভেঙে নিচু এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, অতিরিক্ত পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তাটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছে তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের জানান, ‘বন্যার পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় স্থলকাশি চিতুলিয়া পাড়া ও ভালকুটিয়া এলাকার লোকজনের ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। কয়েকটি গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙনের কারণে কয়েকটি এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।