আব্দুস সাত্তার, বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও মধুপুর উপজেলােয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার সকালে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল নামকস্থানে বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। দুপুরে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মধুপুর উপজেলার নেকিবাড়ী নামক স্থানে দুইটি মোটরসাইলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছেন- মধুপুর উপজেলার বোয়ালী এলাকার সিহাব উদ্দিনের ছেলে বনি আমিন অরেঞ্জ (২৬) ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে তানভীর হাসান (২৫), গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মৌজাডাকুড়ী গ্রামের মৃত কামরুজ্জামান তোতার স্ত্রী চায়না বেগম (৪৮) ও তার ছেলে শাকিব মিয়া (১৯)।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, সকালে বাড়ি থেকে শাকিব তার মাকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে গোপালপুর উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। ঝাওয়াইল বাজার এলাকায় একটি চাতাল মিলের কাছে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা নাটোরগামী একটি আনন্দ ভ্রমণের বাসের সাথে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মা-ছেলে নিহত হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হলেও চালক এবং হেলপার পালিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, তানভীর হাসান ও মারুফ হাসান ধনবাড়ী থেকে মোটরসাইকেল যোগে মধুপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত থেকে বনি আমিন অরেঞ্জ মোটরসাইকেল যোগে মধুপুর থেকে ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মধুপুর উপজেলার নেকিবাড়ী নামকস্থানে দুইটি মোটরসাইলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলের তিনজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক ওই দুই জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে মারুফ হাসান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।