আব্দুস সাত্তার, বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে ৭টি অবৈধ ইটভাটার কর্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বন্ধ করে দেয়া ইট ভাটাগুলো হলো, ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া গ্রামের সুজন ব্রিকস, সিয়াম ব্রিকস, স্বর্ণা ব্রিকস-২, মিশাল ব্রিকস ও লোকের পাড়া গ্রামের এমএসটি ব্রিকস। কালিহাতী উপজেলার তালতলা গ্রামের একুশে ব্রিকস ও ভূয়াপুর উপজেলার ভারই গ্রামের কবির ব্রিকস।
পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কর্যালয়ের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর জানান,পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘাটাইল উপজেলার ৫টি পাশ্ববর্তী কালিহাতী ও ভূয়াপুর উপজেলার ২টি ইটভাটা অভিযান পরিচালনা করা হয়। লাইসেন্সবিহীন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত এসব ইটভাটা মলিকদের কাছ থেকে ৩৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ইটভাটা ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তায় পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপ পরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারি পরিচালক তুহিন আলম ও সহকারী পরিচালক জনাব সজীব কুমার ঘোষ প্রমূখ। এছাড়াও অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচলক পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, ৭টি অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালানা করে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় টাঙ্গাইল জেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুেদ্ধ এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। টাঙ্গাইলে ৩ ইটভাটাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অপর দিকে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় তিনটি ইটভাটার মালিককে ১৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া হোসেন ও জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিনসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জমির উদ্দিন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মির্জাপুরের গোড়াই সৈয়দপুর এলাকার মেসার্স আশা ব্রিকস এন্ড কোং ও মেসার্স নূরজাহান ব্রিকসকে ছয় লাখ টাকা করে এবং রানাশাল এলাকার মেসার্স হাকিম এন্টার প্রাইজকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত)-২০১৯ অনুযায়ী ইটভাটা পরিচালনার জন্য মালিকগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছেৃ