বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড: মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপি একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচনে আসবে। বিএনপি যতই আন্দোলনের কথা বলুক। আবার তারা ২০১৪ সালের মতো তান্ডব করবে। গাড়িতে আগুন দিবে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করবে, ট্রাকে আগুন দিবে, রেল লাইন তুলবে, বিদ্যুতের লাইন কাটবে। এটি আর তারা বাংলাদেশে করতে পারবে না। কোন আন্দোলন করতে পারবে না। সেই পরিস্থিতি আমরা সৃষ্টি করবো ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার বেলা ১১ টায় টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার (৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তৎপর হচ্ছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দলগুলো তৎপর। তারা দেশে একটি অস্তিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে। তারা নানা ষড়যন্ত্র করছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। এটি মোকাবেলা করার জন্য টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুবই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমি মনে করি এ সম্মেলনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ আরও সুসংগঠিত হবে, সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এ সরকারের ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তত্তাবধায়ক সরকারের জন্য অহেতুক দাবি, যে দাবির কোন যৌক্তিকতা নাই। এ সকল মোকাবেলা করার জন্য ও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনটি খুব গুরত্বপূর্ণ। নেতাকর্মীদের মাঝে যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে তাতে আমি মনে করি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বটি একটি মহাসমাবেশে পরিণত হবে। এই সম্মেলনটি সারা বাংলাদেশে একটি নতুন উদাহারন সৃষ্টি করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ প্রমুখ।