টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মুল হোতা রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে ফেতার করা হয়। রাজা মিয়া কালিহাতী উপজেলার বল্লা গোরস্থান পাড়ার হারুন অর রশিদের ছেলে। সে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া থাকতো ও টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা সড়কে ঝটিকা বাসের চালক ছিলো। গ্রেফতারকৃত রাজা মিয়াকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঈগল পরিবহনের যে বাসটি ডাকাতের কবলে পড়ে, সেই বাসের চালককে সরিয়ে দিয়ে রাজা চালকের সিট দখল করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় কে কে জড়িত ছিলো পুলিশকে জানিয়েছে রাজা।
তিনি আরও জানান, মধুপুরে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪ থেকে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে একদল ডাকাত যাত্রীবেসে ওই বাসে ওঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের বেঁধে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এরপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির স্তূপে বাসটি উল্টিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন (বিপিএম) জানান, এ ঘটনায় এক যাত্রী বাদি হয়ে মধুপুর থানায় একটি ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি উত্তর) ঘটনার মূল আসামি রাজা মিয়াকে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজা মিয়াকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।