টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ভিজিএফ’র চাল কালোপাজারে বিক্রির জন্য পাচার করার সময় দুই ইউপি সদস্যকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। এসময় ঘটনা বেগতিক দেখে কৌশলে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান ও আরো দুই সদস্য।
শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে জনতার হাতে আটককৃত চুরির ১২৫ বস্তা চাল আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে চালগুলো রেখে সিলগালা করে দেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
গণপিটুনির শিকার ওই দুই ইউপি সদস্য হলেন মো: রেজাউল করিম ও আব্দুস ছালাম।
স্থানীয়রা জানান, ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে হতদরিদ্রদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম কিছুসময় চলার পর বন্ধ করে দেন চেয়ারম্যান হেপলু। দুপুরে নামাজের সময় সুযোগবুঝে ৫টি অটোরিক্সাযোগে ১২৫ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু, সদস্য আব্দুল ছালাম, রেজাউল করিম, চান মাহমুদ ও ফারুক তালুকদার। কিছুদুর যাবার পর বিষয়টি চোখে পড়লে জনতা রাস্তা অবরোধ করে তাদের ঘেরাও করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হেপলু, সদস্য চান মাহমুদ ও ফারুক তালুকদার পালিয়ে গেলেও অপর দুই ইউপি সদস্য আব্দুল ছালাম, রেজাউল করিম গণপিটুনির শিকার হন।
স্থানীয় জনতা উপজেলা প্রশাসন ও ঘাটাইল থানা পুলিশকে অবগত করলে তারা এসে দুই ইউপি সদস্যকে জনতার হাত থেকে অবমুক্ত করেন এবং ১২৫ বস্তা চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে রেখে সিলগালা করে দেন।
ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম বলেন, চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলুর নির্দেশে তারা চালের বস্তাগুলো সরিয়ে দেলুটিয়া নিচ্ছিলেন। এখন তিনি আমাদের রেখে চলে গেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, চালগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। সেইসাথে দুই ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।