টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাইসহ সবক’টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়াও ৫ হাজার একর জমির পাট, আউস ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট। গবাদিপশু নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে বানভাসিদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।