উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ১২ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা। রোবারার সকালে পানির তীব্র স্রোতে বাসাইল উপজেলার বাসাইল দক্ষিণ পাড়া-বালিনা সড়কের একটি অংশ ও কালিহাতী উপজেলার আনালিয়া বাড়ি পুরাতন পাড়া নামকস্থানে বেঁড়িবাধ ভেঙে গেছে। এছাড়াও ভাঙছে ছোট-বড় গ্রামীণ রাস্তাঘাট।যার ফলে বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। মানুষের মনে বিরাজ করছে বন্যা আতঙ্ক।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল, ভূঞাপুর, কালিহাতীর পশ্চিমাঞ্চল ও বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতে উঠতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এছাড়াও শত শত একর জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুথীন হচ্ছে কৃষকরা।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীসহ সবকগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির গতিবিধি ভালো না। সামনে বন্যা আসছে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড: মো: আতাউল গনি জানান, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। টাঙ্গাইলে বন্যার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।