টাঙ্গাইলে মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে তার ভায়রাকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং শ্যালিকাসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদন্ডের কথা রায়ে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.মাসুদ পারভেজ এ রায় দেন।
আমৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মো: শামছু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম ওরফে রেজা।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন, আমৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত রেজাউলের স্ত্রী আলো বেগম, বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, যশিহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রেজভী ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম খান জানান, বাসাইল উপজেলার কাউলজানী গ্রামের আবু বক্কর ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। তিনদিন পর পার্শবর্তী মহেশখালী গ্রামে জমির আইল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ ছিল। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু বক্কর ভূঁইয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এ হত্যার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের ভায়রা রেজাউল ইসলাম, শ্যালিকা আলো বেগমসহ আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার এ রায় দেন বিচারক। দন্ড প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আলমগীর, আলো বেগম ও লাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দন্ড প্রাপ্ত রেজাউল ও রেজভী জামিনে মুক্ত হওয়ার পর পলাতক রয়েছেন।