টাঙ্গাইলের সখীপুরে গরু মোটাতাজা করার গো-খাদ্য হিসেবে পোশাক কারখানার ঝুট (তুলা) বিক্রির অভিযোগে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও জনসম্মুখে আনুমানিক দুই টন তুলা পুড়িয়ে ফেলাসহ চারটি গুদামঘর সিলগালা করা হয়েছে। আজ রোববার (৫জুন) বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এলাকায় অভিযানে চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও ফারজানা আলম।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। নজরুল এক বছর ধরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এলাকায় ৬টি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সামিউল বাছির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এলাকায় মেসার্স রোজা এন্টারপ্রাইজে নজরুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পশুখাদ্য হিসেবে তুলা বিক্রির অভিযোগে তাকে মৎস ও পশুখাদ্য আইন-২০১২-এর ২০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই টন তুলা জব্দ করে জনসমক্ষে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এছাড়াও আদালত চারটি গুদামঘর সিলগালা করে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সামিউল বাছির বলেন, এ তুলা গবাদি-পশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ও ক্ষতিকর বিধায় এসব পশুর খাদ্য হিসেবে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু-মোটা তাজা করার জন্য গো-খাদ্য হিসেবে ওই তুলা মজুদ করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তিনি আরও জানান, তুলা কোনো পশু খাদ্যের তালিকায় নেই।
গবাদিপশুকে দীর্ঘমেয়াদী এটা খাওয়ালে পেট ফেঁপে মারাও যেতে পারে। তারপরও কিছু কৃষক গরুকে মোটাতাজা বানিয়ে বেশি দাম পাওয়ার আশায় তুলা খাইয়ে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।