টাঙ্গাইলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি ও নোয়াখালীর বিলকিস। ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। দুই বছর যাবৎ হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে ও জড়িয়ে পড়েন প্রেমে। তাদের এই সম্পর্ক মানতে পারছে না পরিবার।গত সোমবার ভালোবাসার টানে টাঙ্গাইলে থাকা প্রেমিকা আঁখির কাছে ছুটে এসেছেন নোয়াখালীর বিলকিস। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিলকিস বলেন, ‘ফেসবুকে ও টিকটকে আমাদের পরিচয় হয়। এরপর দুই বছর ধরে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। গড়ে উঠে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। আমি আঁখিকে ভালোবাসি,তাই চলে এসেছি। আমি আমার ফ্যামিলিকে বলেছিলাম, আখি কাছে যাব, কিন্তু তারা রাজি হয়নি। তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না। তাই নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি। এখন ওর পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করব।’
টাঙ্গাইলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি বলেন, ‘সম্প্রতি বিলকিসকে নিয়ে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। আমরা ঢাকায় দেখা করেছি। ঢাকায় আমাদের ফ্যামিলি গিয়ে আমাদের আলাদা করে নিয়ে এসেছে। আমার ফোন নিয়ে নিয়েছিল। কয়েকদিন পর ফোন ফেরত দেয়। তখন আবার আমরা যোগাযোগ করি। বিলকিসকে ফোন করে আমার বাসায় নিয়ে এসেছি। সামাজিকভাবে আমাদের মানবে না, কিন্তু আমি ওর সঙ্গেই থাকতে চাই। বাঁচলেও ওর সঙ্গে, মরলেও ওর সঙ্গে। পুলিশ বা তারা যদি আমাদের মেরে ফেলতে চায়, তাহলে দু’জনকে একসঙ্গেই মারবে। আর যদি বাঁচিয়ে রাখতে চায়, তাহলে দুজনকেই রাখতে হবে।’
টাঙ্গাইলের আঁখির মা বলেন, ‘এর আগেও ওরা ঢাকা চলে গেছিল। তারপর দুজনকে আলাদা করে রাখছিলাম। পরে এখন আবার চলে এসেছে।ওদের দেখতে মানুষ বাড়িতে ভিড় করেছে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারকে খবর দিছি। তারা আসার পর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
স্থানীয়রা বলেন, দুই নারীর প্রেম বিস্মিত করছে আমাদের। জীবনের প্রথম এ রকম ঘটনা দেখলাম। এ রকম কোনোদিন দেখিনি। একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচবে না। বিষয়টি দেখে খুবই অবাক হলাম।
টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের শিক্ষক বি এম দিপক পাল বলেন, সব সময় যে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ থাকবে তা নয়। তাদের দু’জনের মাঝে সাময়িক একটা বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এটি পরিবর্তনও হতে পারে।