টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ছিনতাই হওয়া সিলযুক্ত ব্যালট পেপার ৪২ দিন পর উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে বস্তাবন্দি ওই ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারের সঠিক সংখ্যা জানাননি পুলিশ।
এদিকে উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারের সংখ্যা জানতে না পেয়ে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, উপজেলার ২-নং গাবসারা ইউনিয়নের চরচন্দনী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনার পর ফেরার পথে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন আক্রমণ করে ও তাদের পক্ষে ফলাফল ঘোষনা দিতে বলে। তাদের পক্ষে ফলাফল ঘোষণা না দেয়ায় ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত (৩০ ডিসেম্বর) অজ্ঞাত ৮/৯’শ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উপজেলার ২নং গাবসারা ইউনিয়নের চরচন্দনী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনা দিয়ে নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা লোকজন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ফেরার পথে নিকলাপাড়া এলাকায় আসলে অতর্কিত ভাবে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এসময় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও দুর্বৃত্তদের সাথে ধস্তা-ধস্তি এবং এক পর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নির্বাচনের চারদিন পর ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মো: মিজানুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/৯’শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
চরচন্দনী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৭৫ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও বৈধ ভোট হয় ২ হাজার ৯টি। বৈধ ২ হাজার ৯ ভোটের মধ্যে মনিরুজ্জামান (নৌকা) প্রতীতে পান ৪৬৬ ভোট, আনোয়ার হোসেন তালুকদার জিন্নাহ (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পান ২০৭ ভোট এবং শাহ আলম শাপলা (আনারস) প্রতীকে পান ১ হাজার ৩৩৬ ভোট। ঐ কেন্দ্রে বেসরকারিভাবে শাহ আলম শাপলা (আনারস) প্রতীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
