এনআইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করে দীপা সাংমার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে হেনা দফোর বিরুদ্ধে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অন্তগত ইদিলপুর গ্রামে।
জানা যায়, জমির প্রকৃত মালিক জন থুসিনির স্ত্রীর বিদ্যাময়ী দফোর ৪.৪১ একর জমি। এদের সংসার জীবনে ছিল দুই সন্তান, বড় ছেলের নাম ব্রজনাথ দফো ও ছোট ছেলে শশাঙ্ক দফো।
আরো জানা যায়, বড় ছেলে ব্রজনাথ দফো বাংলাদেশ ত্যাগ করে ইন্ডিয়াতে বসবাসরত অবস্থায় মারা যায়। ছোট ছেলেকে নিয়েই বিদ্যময়ী দফোর সুখের সংসার ছিল। হঠাৎ ১৯৬১ সালে স্বামী জন থুসিন ও ছেলে শশাঙ্ক কে রেখে বিদ্যময়ী দফো মৃত্যুবরণ করেন।কিছুদিন পর (জন থুসিনি) সংসার করার জন্য, অন্যের তালাকপ্রাপ্ত তিন মাসের গর্ভবতী মহিলা ময়না রেবেকা কোকিলাকে বিয়ে করে, সেই ঘরেও একটি কন্যা সন্তান হয়, তাহার নাম হেনা দফো।
বিদ্যাময়ী দফা মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তির মালিক ছোট ছেলে শশাঙ্ক দফো, শশাঙ্ক দফোর মায়ের মৃত্যুর পর সকল সম্পত্তি একক মালিকানা হয়ে। তিনিও মৃত্যুবরণ করার পর তাহার সকল সম্পত্তির মালিক হয় সন্তানরা তারা হলেন, দীপা সাংমা, গোপা সাংমা, মনোরমা সাংমা, সম্পা সাংমা, ছেলে মিঠু সাংমা, দীপক সাংমারা বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় আইনে পিতা, মাতার রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তি ছেলে মেয়েরাই অংশীদার লাভ করেন।
বর্তমান জমির প্রকৃত মালিক বাদীপক্ষ দীপা সাংমা জানায়, বিবাদী পক্ষ হেনা দফো মায়ের নাম ময়না রেবেকা কুকিলা বাদ দিয়ে, বাদী পক্ষের দাদীর নাম বিদ্যাময়ী দফোর বসিয়ে, জমি দখলের চেষ্টা চালায়।
দীপা সাংমা বলেন, আমার দাদির বিদ্যাময়ী দফোর নামে জমির, দলিল যাহার জেএলনং ১৬৮, খতি: নং ১১/৩০, দাগ নং ২৫৪, তে ৪.৪১ একর বিদ্যাময়ী নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়। খাজনা-খারিজ থাকা শর্তেও কিভাবে অন্য ব্যক্তিরা মালিকানা দাবি করেন।
হেনা দফো জাল দলিল করে মতিউর রহমানের কাছে জমিটি বিক্রি করে, ইতিমধ্যে মতিউর রহমান কিছু স্থানীয় নেতা কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মেনেজ করে জমিটা দখল দেওয়ার জন্য পায়তারা করছে, এবং বিবাদী পক্ষরা, বাদীপক্ষ দীপা সাংমাকে প্রাণ নাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ সময় বাদীপক্ষ বিষয়টি জানার পর আদালতে হেনা দফোসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। এনআইডি কার্ড জালিয়াতির কারণে আদালত বিবাদী পক্ষ হেনা দফোর বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন সাজা খেটে জামিনে মুক্তি পেয়ে, আবারো হেনা দফো তার বাহুভক্ত লোকদেরকে নিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় বাদীপক্ষ দিশেহারা হয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে, বিষয়টি যেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখে দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।