টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে তিন প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ২৪ ইউপি’র ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

টাঙ্গাইলে প্রকাশ্যে সিল দেওয়া, কর্মীদের মারধর ও এজেণ্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী, নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে ২৪টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের ২৪টি ইউনিয়নে রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মাসুদুর রহমান বালা ও আনারস প্রতীকের আইয়ুব আলী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

মাসুদুর রহমান বালা বলেন, দুপুরে ভোট কেন্দ্রের প্রত্যক কক্ষ থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে ভোট বর্জন করতে হয়েছে।

আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আইয়ুব আলী বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা জোর করে ব্যালট নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট নিচ্ছে। বাধা দেওয়ায় আনারস প্রতীকের কর্মীদের মারপিট করেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এই জন্য ভোট বর্জন করেছি।

এদিকে কারচুপির অভিযোগ এনে রোববার দুপুরে মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউপি নির্বাচনের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মজিবর রহমান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা স্থানীয় ভোটার না হয়েও ব্যালট নিয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে সিল দিচ্ছে। প্রিজাইডিং অফিসারদের জানানোর পরও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ভোট বর্জন করতে হয়েছে।

প্রকাশ: তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভায় রোববার ভোট গ্রহণ করা হয়। ২৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৮৬৮ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ইতোমধ্যে একজন চেয়ারম্যান ও তিনজন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ঘাটাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত সদস্যপদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার এএইচএম কামরুল হাসান জানান, প্রত্যেক উপজেলায় তিন প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ৫-৭জন করে পুলিশ ও ১৭ জন করে আনসার সদস্য এবং র‌্যাবের টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker