টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৮দিন পর একটি ভোট কেন্দ্রের (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ছাদ থেকে সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ছাদ থেকে সিল মারা তালগাছ প্রতীকের ওই ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তালগাছ প্রতীকের নারী সদস্য পদের প্রার্থী বিউটি আক্তার ৩০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। নির্বাচনের ৮দিন পর সকালে এ ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ছাদে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলতে গিয়ে ব্যালট পেপারগুলো দেখতে পায়। তারা বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়। পরে শিক্ষকরা স্থানীয়দের অবগত করলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী বিউটি আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ব্যালট পেপার দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদে মাইক প্রতীকের প্রার্থী রাশেদা বেগম এক হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
পরাজিত তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী বিউটি আক্তার বলেন, ‘নির্বাচনে আমাকে ৩০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৮ দিন পর আমার নিজ কেন্দ্রের বিদ্যালয়ের ছাদে তালগাছ প্রতীকে সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এই ব্যালট পেপারগুলো একত্রিত করলে আমি দুই শতাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম। নির্বাচনে পরাজিত করতেই আমার প্রতীকের সিল মারা ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে দেওয়া হয়। পরে ভোট গণনা করে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে যাবেন। ব্যালট পেপারগুলো আমার কাছে এনে রেখেছি’।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে মোবাইল ফোনে শুনেছি। এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ট্রাইবুনালে অভিযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা চাইতে পারেন।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, কে বা কারা ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে গেছেন- পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। নির্বাচন শেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার সিলগালা করে ফলাফল ঘোষণা করে এসেছেন। তখন কোন প্রার্থীর অভিযোগ ছিল না।