সখিপুর উপজেলার কালিয়া গ্রামের আড়াই বছরের ছোট্ট শিশু সোয়াইব। মা গৃহিণী। বাবা কয়েক বছর যাবত বিদেশ থাকলেও এখনো পরিশোধ করতে পারেনি ধারদেনা। বয়স মাত্র আড়াই বছর হলেও মূত্রনালীতে সমস্যা থাকায় এ পর্যন্ত ডাক্তাররা ৫ বার অস্ত্রোপচার চালিয়েছেন সোয়াইবের শরীরে।
ছেলের কি হয়েছে, জানতে চাইলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোয়াইবের মা কল্পনা আক্তার।
সোয়াইবের মা জানান, ২০১৯ সালে জন্মের ২২ দিন বয়সে পেট ফুলে গেলে সোয়াইবকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার জানান পেটের ভেতর নাড়ে প্যাচ লেগেছে। পরদিনই শুরু হয় প্রথম অপারেশন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২০১৯ সালের শেষ ৯ মাসে সোয়াইবের শরীরে চালানো হয় ৩ টি জটিল অপারেশন। কিন্তু কিছুতেই যেন বিপদ পিছু ছাড়ে না।
একই হাসপাতালে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৪র্থ ও ২০২১ সালের জুন মাসে করানো হয় পঞ্চম অপারেশন। কিন্তু তাতেও হয়নি কোন উন্নতি বরঞ্চ বেড়েছে আরো ভোগান্তি। পেটের এক পাশে বের হয়ে আছে মূত্রনালির কিছু অংশ।
সোয়াইবের মা কল্পনা আক্তার বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে আমার বাচ্চাকে একে একে পাঁচটি অপারেশন করানো হয়। এই ৫ অপারেশনে আমার ৬ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে আজ আমি নিঃস্ব।
তিনি আরো জানান, ৫ অপারেশনের পর আমার ছেলে সুস্থ না হওয়ায় সম্প্রতি ঢাকার উত্তরা জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোয়াইবকে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তাররা সোয়াইবের পূর্ববর্তী চিকিৎসা ও অপারেশনের কাগজ দেখে আমাকে জানিয়েছেন যে, তার শরীরের অপারেশন সঠিক হয়নি। আমি বিষয়টি নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যদি আমার ছেলে ভুল অপারেশনের শিকার হয়ে থাকে তবে, তদন্ত সাপেক্ষে আমি দোষীদের শাস্তি দাবি করি ও ক্ষতিপূরণ চাই।
সোয়াইবের মা আরো জানান, ঢাকার উত্তরা জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সোয়াইবের শরীরে আরো দুইটি অপারেশন করতে হবে। তাহলেই সোয়াইবের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সম্ভাবনা আছে। দুটি অপারেশনে অন্তত ২ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। এ টাকা আমি কীভাবে জোগাড় করব। এমনটা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
অপারেশনের টাকা যোগাতে ঋণগ্রস্ত প্রবাসী বাবা আর মা কল্পনা আক্তার টাকার জন্য ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। সময় বলে দেবে সোয়াইব কি জীবনযুদ্ধে জয়ী হবে? নাকি বিকশিত হওয়ার আগেই ঝড়ে যাবে আরেকটি প্রাণ?
আর্থিক সাহায্য করতেঃ ০১৩০২ ৬০৪ ৩৯১ বিকাশ (সোয়াইবের মা)