ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৫ অক্টোবর), সকাল থেকে বাস ও ট্রাকসহ গণপরিবহন বন্ধ করে তারা এ ধর্মঘট পালন করেন। যার ফলে টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বাস ও ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের নতুন বাসস্ট্যান্ডে সব বাস সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় জরুরি প্রয়োজন। দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঢাকা যাচ্ছেন। ভাড়া বাসের তিনগুণ। তিনি অটোরিকশায় ঢাকা পর্যন্ত যেতে পারবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন।
মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে ঢাকা, পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য। কোনো যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে তারা।
জেলা বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি বলেন, বাঁচার তাগিদে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মতি অনুসারে জেলা ও আঞ্চলিক মালিক আর শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ জেলার বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের ডিজেল চালিত গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে তেমন বাস ট্রাক চলেনি। তবে ভোরে দূরপাল্লার দু-একটি বাস ও ট্রাক ছিলো।