টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক বাসা থেকে শাশুড়ি ও পুত্রবধূসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর), সকাল ১০ টায় উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে, তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার কারণ হিসেবে পুরোনো প্রেমকে দায়ী করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা।
টাঙ্গাইলের র্যাব-১২, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জমেলা, সুমি ও শাহজালাল নামের তিনজনের লাশ বসতঘর থেকে পাওয়া গেছে। এ সময় সুমির শিশু সন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। এছাড়াও যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে তার দেওয়ালে লেখা আছে, ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো। এই সব কিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী।’ তাই পরকীয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, স্কুল জীবন থেকে শাহজালালের সঙ্গে সুমির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ৫ বছর আগে সুমির সঙ্গে জয়েনুদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর জয়েনুদ্দিন বিদেশ চলে যায়। এ সুযোগে সুমি আবার শাহজালালের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করে। গত ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি চলে যায়। শাহজালালের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের মতো সংসার করে। পরে জয়নুদ্দিন প্রায় তিন মাস আগে দেশে ফিরলে সুমিকে নিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করে। আড়াই মাস আগে জয়েনুদ্দিন সৌদি চলে যায়। গতরাতে আবার শাহজালাল সুমির সঙ্গে দেখা করতে আসে। সকালে শুনি জয়নুদ্দিনের ঘরে তিন জনের লাশ পরে আছে।
দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন বলেন, ‘শাহজালালের সঙ্গে সুমির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমির স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে আবার তাকে বাড়িতে এনেছিল।’
উল্লেখ্য, আজ সকালে ওই এলাকা থেকে মৃত হয়রত আলী স্ত্রী জমেলা বেগম (৬৫), তার প্রবাসী ছেলে জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (২৬) ও শাহজালাল কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল ইসলাম সোহাগের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।