“আর নয় হিরোশিমা, আর নয় নাগাসাকি” — টাঙ্গাইলে প্রথমবারের মতো পালিত হলো হিরোশিমা দিবস
১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্টের হিরোশিমা ট্র্যাজেডি স্মরণে প্রতি বছর ৬ আগস্ট পালিত হয় হিরোশিমা দিবস। এ বছরই প্রথম ঢাকার বাইরে এই দিবসটি পালন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন। সংগঠনটি এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
মানব ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়, ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্টের হিরোশিমা ট্র্যাজেডি স্মরণে গতকাল সারা বিশ্বে পালিত হয়েছে হিরোশিমা দিবস। এই উপলক্ষে এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীর দারিখাসিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিল জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
- প্রধান অতিথি: মোঃ খায়রুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
- বিশেষ অতিথি: মিস কুলসুম সোলাইমান, টিও, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
- মূল বক্তব্য প্রদান: মোঃ মোফিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক, দারিখাসিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
- ঐক্য প্রকাশ করেন মোঃ তাজরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক, জাপান বাংলা পিচ ফাউন্ডেশন।
- স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ড. শামীম আহম্মেদ, আজীবন সদস্য, জাপান বাংলা পিচ ফাউন্ডেশন।
- সভাপতিত্ব: মোঃ হুমায়ুন কবির সুইট, সভাপতি, জাপান বাংলা পিচ ফাউন্ডেশন।
হিরোশিমা, হিরোশিমা দিবস, জাপান, শান্তি, পারমাণবিক অস্ত্র, বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক শোক দিবস
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তারা দিনটিকে “আন্তর্জাতিক শোক দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জোর দাবি জানান। বক্তাদের মতে, এটি শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক স্মরণ নয়, বরং একটি নতুন পৃথিবী গড়ার আহ্বান।
জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, গত ২২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিরোশিমা দিবস পালন করে আসছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গঠন, যুদ্ধের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলা। “আর নয় হিরোশিমা! আর নয় নাগাসাকি!”—এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি ৬ই আগস্টকে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যুদ্ধের ভয়াবহতা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে জাপান বাংলা পিস ফাউন্ডেশন সকল শান্তিপ্রিয় মানুষকে এই অমানবিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।