মির্জাপুরে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক নারীসহ ৬ জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক নারীসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এক নারীও রয়েছেন, যিনি অপহৃত ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে জিম্মি অবস্থায় থাকা আব্দুর রহিম মিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এই চক্রের নেতৃত্ব দেওয়া রাকিব হাসান (১৮) নামের এক তরুণ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), একই এলাকার রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেস এর মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০)।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহিম মিয়া একটি ইটভাটায় কাজ করার সময় গ্রেপ্তারকৃত আকলিমা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরে তাকে বিয়ে করেন। ইটভাটা বন্ধ হওয়ার পর রহিম তার নিজ এলাকায় ফিরে যান এবং তার প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকেন। প্রায় ছয়-সাত মাস আকলিমার সঙ্গে যোগাযোগ না করায় আকলিমা তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন। রহিম আকলিমার ভাড়া বাসায় এলে পলাতক রাকিব হাসানের নেতৃত্বে গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে মারধর করে একটি বাড়িতে জিম্মি করে রাখে। এরপর তারা তার স্বজনদের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
জিম্মি রহিমের স্বজনরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানালে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা এলাকায় মাদক নির্মূল কমিটির নেতৃত্ব দিতো। এছাড়া তারা বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করছিল বলেও অভিযোগ আছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।