পরিচালনা করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ টিম। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজির সূরা এলাকায় নিষিদ্ধ মৌসুমে গড়ে উঠা ইলিশের হাটে এ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় হাটের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেইসাথে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় হাট। জব্দ করা হয় ৮০ হাজার মিটার জালসহ ৬০ কেজি ইলিশ।
শিবচর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা পদ্মায় ইলিশ শিকার করে পরে পদ্মার পাড়েই এ মাছগুলো বিক্রি করছে। মাছ বিক্রির জন্য পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠিয়েছে অস্থায়ী হাটও। নদীতে অভিযানের পাশাপাশি শুক্রবার বিকেলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, মৎস্য অফিস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ যৌথভাবে অভিযানটি পরিচালনা করেছে। এসময় হাটের সকল অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ বিক্রেতাসহ ক্রেতারা দ্রুত সরে পড়েছেন।
মৎস্য অফিস সূত্রে আরো জানিয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিনে পদ্মানদীতে মোট ৩৭টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ৬ লাখ ৭০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেন। সেইসাথে আটক করা হয় ৪০ জেলেকে। এদের মধ্যে ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে ২০ জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা হয় ১৩টি ট্রলার ও উদ্ধার করা হয়েছে ৩ শত ১০ কেজি ইলিশ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস, পু্লিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অস্থায়ী ইলিশের হাটে অভিযান চালানো হয়েছে। হাটটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নদীতে নিয়মিত অভিযান চলমান আছে।