ঢাকা থেকে পাঠাও রাইডের মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রটি মোটরসাইকেলের যাত্রী বেশে গ্রামে এনে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করত। এই ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুরে এ চক্রের সন্ধান পেয়ে পুলিশ দুটি ছিনতাইকৃত গ্রেফতার করে। এসময়ে তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত দুইটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ১৮ জুন মহসিন নামে এক যুবক ঢাকার লালবাগ কেল্লার এলাকা থেকে পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে রাইডার মো: হাসান আহম্মেদকে (৩৮) নিয়ে কামরাঙ্গীরচরে আসেন। মহসিন মোটরসাইকেল চালকের নম্বর তার কাছে রেখে ছিলেন পরে গত ২০ জুন আবারো ফোন দেয়। আড়াই হাজার টাকায় মহসিন হাসানকে নিয়ে শিবচরের উমেদপুরের আলীপুর নামক স্থানে পৌঁছে এসময়ে সহযোগী অপু মুন্সী, শাওন হোসেনসহ ৪/৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রাইডার হাসানকে জিম্মি করে। হাসানকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ব্যাপক মারধরের পরে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। বিকাশে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে চক্রটি। পরে মোটরসাইকেলটি রেখে হাসানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরের দিন হাসান শিবচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর গত ২৭ জুন একইভাবে মহসিন মো: আরিফ হোসেন (২৭) নামের আরেকজন পাঠাও রাইডারকে ঢাকার কদমতলী থেকে শিবচরের উমেদপুর নিয়ে এসে। সেখানে চক্রটি আরিফকে জিম্মি করে মারধরের পরে মুক্তিপণ আদায় করে। এ বিষয়েও শিবচর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এরপর ভয়াবহ চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে শিবচর থানা পুলিশের একাধিক টিম। প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ছিনতাই চক্রের সদস্য অপু মুন্সী, শাওন হোসেনকে ছিনতাইকৃত দুটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন অপু মুন্সী (২৪) শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুরের মৃত হেমায়েত মুন্সীর ছেলে, শাওন হোসেন (২২) একই গ্রামের কালাম উকিলের ছেলে।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সেলিম হোসেন বলেন, শিবচর থানা পুলিশ ২টি মোটরসাইকেল ও দুটি ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে।