হত্যার সন্দেহে কবর থেকে ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন
মাদারীপুরে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে এক ঠিকাদারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সৈয়দ তুহিন হাসান (৪৫) নামের ওই ঠিকাদারের মৃত্যুর প্রায় দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর পৌর কবরস্থান থেকে তার মরদেহটি তোলা হয়।
মাদারীপুরে হত্যা মামলার পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সৈয়দ তুহিন হাসানের (৪৫) মৃত্যুর ঠিক দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর পৌর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহত সৈয়দ তুহিন হাসান জেলার ডাসার উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল হোসেনের বড় ছেলে এবং তিনি দীর্ঘদিন যাবত মাদারীপুর শহরের বাগেরপাড় এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার জানান, এবছরের ৩১ জুলাই নির্মাণাধীন মাদারীপুর শিক্ষা প্রকৌশলী ভবনের দ্বিতীয় তলায় রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ঠিকাদার সৈয়দ তুহিন হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন মৃত্যুটি হৃদ্যন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে ধরে নেয়া হয়। পরের দিন ১ আগস্ট মাদারীপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু দাফনের কয়েকদিন পরে নির্মাণাধীন ভবনের প্রহরী তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারকে জানান। পরে তুহিনের পিতা সৈয়দ আবুল হোসেন বাদী হয়ে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ৬ আগস্ট সাত জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আদালত নিহত তুহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তুহিনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেছে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে নিহত তুহিনের পিতা সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, প্রথমে তুহিনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে প্রচার করা। পরবর্তীতে ওই ভবনের এক প্রহরীর কথা বার্তায় সন্দেহ হয়। পরে পরিবারের সন্দেহ ও কিছু আলামতের ভিত্তিতে স্থানীয় আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে আদালতের আদেশে লাশ উত্তোলন করা হয়। আমি ন্যায়বিচার দাবি করি। এঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করে পুনরায় মরদেহটি কবর দেওয়া হবে।